ভারত এবং অন্যান্য দেশের আসন্ন মহাকাশ মিশন
মঙ্গল মিশন
ভারত একমাত্র দেশ নয় যাদের মঙ্গল গ্রহ অনুসন্ধানের জন্য উচ্চাশী পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) 2013 এর নভেম্বরে লাল গ্রহে একটি উপগ্রহ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। উপগ্রহটি মঙ্গলের জলবায়ু এবং ভূতত্ত্ব নিয়ে কক্ষপথ থেকে গবেষণা চালাবে।
নাসাও আর একটি মঙ্গল মিশনের পরিকল্পনা করছে, যার নাম মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল এবং পরিবর্তনশীল উপাদান (MAVEN) মিশন। MAVEN গবেষণা করবে যে কিভাবে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল সূর্যের সাথে আন্তঃক্রিয়া করে। মিশনটি 2013 সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
চাঁদ মিশন
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) 2018 সালে চাঁদে একটি মানুষবিহীন ল্যান্ডার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু নিয়ে গবেষণা চালাবে, যেটি তুলনামূলকভাবে একটি অনুnexআলোচিত অঞ্চল।
চীনও 2013 এর দ্বিতীয়ার্ধে চাঁদে একটি প্রোব পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। চীনের সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশে বেশ কিছু সফল অভিযান রয়েছে, যার মধ্যে তাদের নিজস্ব পৃথিবী-কক্ষপথের স্পেস ল্যাব এবং চ্যাং’ই 1 লুনার অরবিটার অন্তর্ভুক্ত।
অন্যান্য মহাকাশ মিশন
ইরান পরবর্তী মাসে মহাকাশে একটি রিসাস বানর পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এটি হবে ইরানের প্রথম মহাকাশ মিশন যেখানে একটি জীবন্ত প্রাণী জড়িত।
নাসার কিউরিওসিটি রোভারের অবতরণ
নাসার কিউরিওসিটি রোভারের দিকে সবার দৃষ্টি, যা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে মঙ্গলে অবতরণ করতে নির্ধারিত। রোভারটি মঙ্গলের পৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা চালাবে এবং অতীত বা বর্তমান জীবনের লক্ষণ সন্ধান করবে।
কিভাবে কিউরিওসিটি রোভারের অবতরণ দেখবেন
যদি কিউরিওসিটি রোভারের অবতরণ দেখতে আগ্রহী হন, তাহলে এটি করার কয়েকটি উপায় রয়েছে। আপনি এটি সরাসরি নাসা টিভিতে দেখতে পারেন, অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি অনুসরণ করতে পারেন। নাসা অবতরণের পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে টুইটার এবং ফেসবুকে আপডেট দিতে থাকবে।
Smithsonian.com থেকে আরও জানুন:
- চাঁদে যাচ্ছি… অথবা না
- নমস্কার মঙ্গল – এটি পৃথিবী!
- মঙ্গলে যাওয়ার কাঁটাযুক্ত পথ
আসন্ন মহাকাশ মিশন সম্পর্কে অতিরিক্ত বিশদ
- ভারতের মঙ্গল মিশন: ভারতের উপগ্রহটি মঙ্গলের জলবায়ু এবং ভূতত্ত্ব নিয়ে কক্ষপথ থেকে গবেষণা চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি 2013 এর নভেম্বরে চালু হবে এবং মঙ্গলে পৌঁছানোর আগে 300 দিন ভ্রমণ করবে।
- চীনের চাঁদ মিশন: চীনের প্রোবটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার এবং চন্দ্র মাটির নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি 2013 এর দ্বিতীয়ার্ধে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
- ইএসএর চাঁদ মিশন: ইএসএর ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু নিয়ে গবেষণা চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি 2018 সালে চালু হবে এবং চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
- ইরানের মহাকাশ মিশন: ইরানের মহাকাশ মিশন সঙ্গে একটি রিসাস বানরকে মহাকাশে পাঠানো জড়িত। বানরটিকে তার জীবনী শক্তি পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেন্সর দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
- নাসার MAVEN মিশন: নাসার MAVEN মিশন গবেষণা করবে যে কিভাবে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল সূর্যের সাথে আন্তঃক্রিয়া করে। এটি 2013 সালে চালু হবে এবং একটি মার্টিয়ান বছর (लगभग দুইটি পৃথিবীর বছর) মঙ্গলের কক্ষপথে থাকবে।