জোহানেসবার্গ আর্ট গ্যালারী ছাদের লিকের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ
ঐতিহাসিক গ্যালারীকে পীড়া দিচ্ছে অবকাঠামোগত সমস্যা
বিশ্ব জুড়ে 9,000 এর বেশি শিল্পকর্মের আবাসস্থল জোহানেসবার্গ আর্ট গ্যালারী, 1989 সাল থেকে ভবনটিকে পীড়া দিচ্ছে এমন ছাদের ক্রমাগত লিকের কারণে তাদের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে, ব্যাপক পানি ক্ষতি ঘটিয়েছে এবং কর্মী ও দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে। ফলস্বরূপ, গ্যালারির ব্যবস্থাপনা সংস্কার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সুবিধাটি বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পানি ক্ষতি ও শিল্পকলার সংরক্ষণ
লিকটি গ্যালারির অবকাঠামোতে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে দেয়াল এবং সিলিংয়ে পানির দাগ। গ্যালারির কর্মীদের শিল্পকর্মগুলিকে দেয়াল থেকে সরিয়ে আরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখতে হয়েছে যাতে তাদের আরও ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়।
গ্যালারির সংগ্রহে জেরার্ড সেকোটো, জ্যাকবাস হেনড্রিক পিয়েরনেফ এবং ওয়াল্টার ব্যাটিসের মতো বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ রয়েছে। বন্ধের ফলে এই মূল্যবান শিল্পকর্মগুলির সংরক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অবহেলা এবং চুরি অবকাঠামোগত দুর্দশার কারণ
শহর কাউন্সিলর ননহ্লানলা সিফুম্বার মতে, গ্যালারির অবকাঠামোগত সমস্যা শুধুমাত্র ছাদের লিকের কারণে নয়। বছরের পর বছর ধরে, কাঠামো থেকে তামার শিট চুরি হয়েছে, যা এর অখণ্ডতাকে আরও দুর্বল করেছে।
সিফুম্বা পূর্ববর্তী প্রশাসনকে গ্যালারির রক্ষণাবেক্ষণ উপেক্ষা করার জন্য দায়ী করেছেন, যদিও 2015 সালে শতবর্ষ উদযাপনের আগে এই উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ র্যান্ড বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সংস্কারে সমসাময়িক আফ্রিকান দৃষ্টিভঙ্গি
যদিও বন্ধটি শিল্প উৎসাহীদের জন্য একটি ধাক্কা, গ্যালারি ব্যবস্থাপনা এই সুযোগটি প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সমসাময়িক আফ্রিকান দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। যখন গ্যালারীটি পুনরায় খোলা হবে, তখন এটি আফ্রিকান শিল্প এবং শিল্পীদের উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেবে।
এই পদক্ষেপটি আফ্রিকান শিল্প এবং সংস্কৃতিকে উন্নীত করা এবং উদযাপন করার গ্যালারির মিশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আশা করা হচ্ছে সংস্কার আরও ব্যাপক শ্রোতাদের আকৃষ্ট করবে এবং গ্যালারীটিকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে।
পুনঃউদ্বোধনী প্রদর্শনীতে মোজাম্বিকের শিল্পী
গ্যালারী মে মাসে মোজাম্বিকের শিল্পী আঙ্গেলা ফেরেইরার একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে আংশিকভাবে পুনরায় খোলার পরিকল্পনা করছে। ফেরেইরার কাজ পরিচয়, স্মৃতি এবং আফ্রিকান প্রবাসের থিমগুলি অন্বেষণ করে।
তার প্রদর্শনীটি গ্যালারির পুনঃউদ্বোধন এবং সমসাময়িক আফ্রিকান শিল্প প্রদর্শনের প্রতি তার নতুন প্রতিশ্রুতির প্রতীক হিসাবে একটি উপযুক্ত উপায় হবে।
নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণের উদ্বেগ
জোহানেসবার্গ আর্ট গ্যালারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক এবং শহরের একটি মূল্যবান সম্পদ। বন্ধটি তার মূল্যবান সংগ্রহের নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য চলমান রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।
গ্যালারি ব্যবস্থাপনা আশা প্রকাশ করেছে যে সংস্কারগুলি শীঘ্রই শেষ হবে এবং গ্যালারিটি আবার জনসাধারণের জন্য তার দরজা খুলতে পারবে।