Home বিজ্ঞানস্পেস সাইন্স মঙ্গল মিশনের জন্য মহাকাশচারীদের কতটা জায়গার প্রয়োজন?

মঙ্গল মিশনের জন্য মহাকাশচারীদের কতটা জায়গার প্রয়োজন?

by রোজা

মঙ্গল মিশনের জন্য মহাকাশচারীদের কতটা জায়গার প্রয়োজন?

দীর্ঘস্থায়ী মিশনের জন্য মহাকাশযান নকশার চ্যালেঞ্জ

মঙ্গলে মানবসহ মিশন দীর্ঘদিন ধরেই সায়েন্স ফিকশনের একটা স্বপ্ন, কিন্তু নাসা লাল গ্রহে মানব উপনিবেশ স্থাপনের লক্ষ্যে বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ধরনের মিশনের জন্য মহাকাশযান নকশায় মূল চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের মাসব্যাপী যাত্রায় বসবাস, কাজ এবং উন্নতির জন্য কতটা জায়গার প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা।

ওরিয়ন মহাকাশ ক্যাপসুল এবং আরও বড় আবাসের প্রয়োজন

ওরিয়ন মহাকাশ ক্যাপসুলটি মহাকাশচারীদের পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে মঙ্গলের কক্ষপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবে প্রতিবেশী গ্রহে মাসব্যাপী যাত্রার জন্য আরও বড় আবাসের প্রয়োজন হবে। এই আবাসের নকশা এখনও চলছে, তবে গবেষকরা নির্দেশনার জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এর দিকে তাকিয়ে আছেন।

মঙ্গলের আবাসের জন্য আদর্শ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন

আইএসএসে ছয়জনের একটি ক্রু থাকে এবং এটিতে বাসযোগ্য আয়তন আছে ১৩,৬৯৬ ঘনফুট, যা ছয় শোয়ার ঘরের একটি বাড়ি থেকেও বড়। তবে, মঙ্গলে যাওয়ার যেকোনো মহাকাশযান অনেক বেশি সংকীর্ণ হবে, কারণ বিপুল দূরত্ব এবং জ্বালানির প্রয়োজনীয়তার কারণে ওজনকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

মহাকাশচারীদের জন্য ড্রেপারের ট্র্যাকিং সিস্টেম

ড্রেপার নামক একটি সংস্থা মহাকাশচারীদের গতিবিধি এবং ঘূর্ণন পরিমাপের জন্য একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতের মঙ্গল আবাসের বিন্যাসকে অপটিমাইজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। সিস্টেমটি মহাকাশচারীদের গতিবিধি এবং ক্রিয়াকলাপগুলিকে সঠিকভাবে ট্র্যাক করতে একটি অ্যাক্সিলেরোমিটার, একটি জাইরোস্কোপ এবং একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে।

মকআপ এবং মাইক্রোগ্রাভিটিতে ট্র্যাকিং সিস্টেমের পরীক্ষা

আইএসএসের মকআপ এবং প্যারাবলিক ফ্লাইট চলাকালীন মাইক্রোগ্রাভিটির অবস্থায় ট্র্যাকিং সিস্টেমটি পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলি দেখিয়েছে যে সিস্টেমটি একটি গজের মধ্যে সঠিক এবং আরও পরীক্ষার মাধ্যমে এর নির্ভুলতা আরও উন্নত করার আশা করা হচ্ছে।

ট্র্যাকিং সিস্টемের জন্য ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

এই বছরের শেষের দিকে, ড্রেপার জনসন স্পেস সেন্টারের মকআপ ব্যবহার করে আইএসএসে একটি সাধারণ দিনের কাজের অনুকরণ করার পরিকল্পনা করছে। ট্র্যাকিং সিস্টেমটি মহাকাশচারীদের গতিবিধি এবং ক্রিয়াকলাপের উপর তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হবে, যা ভবিষ্যতের মঙ্গল আবাসের নকশাকে পরিমার্জিত করতে ব্যবহার করা হবে।

মঙ্গল মিশনের জন্য নাসার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা

নাসার পরিকল্পনা ২০৩০ বা ২০৪০ এর দশকে মঙ্গলে একটি মানবসহ মিশন পাঠানোর। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য যেসব প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে, ট্র্যাকিং সিস্টেমটি তার মধ্যে একটি মাত্র। মহাকাশচারীদের প্রয়োজনীয়তাকে সাবধানে বিবেচনা করে এবং মহাকাশযানের নকশাকে অপটিমাইজ করে, নাসা মঙ্গলে মানব উপনিবেশের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কাজ করছে।

You may also like