বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মদান: একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতা
বিবাহ বহির্ভূত জন্মহার বোঝা
যুক্তরাষ্ট্রে বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মদানকারী মহিলাদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৪০ এর দশকে, সন্তানের জন্ম অবিবাহিত মায়েদের মধ্যে মাত্র একটি ছোট অংশের জন্য হতো। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে ৪০% এরও বেশি। এই প্রবণতা বিশেষ করে তরুণী এবং কম শিক্ষিত মহিলাদের মধ্যে বেশি।
শিক্ষা এবং বিবাহ বহির্ভূত জন্মহার
গবেষণায় ধারাবাহিকভাবে দেখা গেছে যে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত মহিলারা বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা কম। উদাহরণস্বরূপ, স্নাতক বা এর চেয়ে উচ্চ ডিগ্রিধারী মাত্র ৮.৮% মহিলা বিবাহিত না হওয়া অবস্থায় সন্তান জন্ম দেয়। বিপরীতে, উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছাড়া ৫৭.০% মহিলার বিবাহের বাইরে সন্তান হয়।
এই বৈষম্য কয়েকটি কারণের কারণে, যার মধ্যে রয়েছে:
- অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত মহিলাদের স্থিতিশীল চাকরি এবং আয় থাকার সম্ভাবনা বেশি, যা তাদের এবং তাদের সন্তানদের আর্থিক সুরক্ষা দিতে পারে।
- কর্মজীবন সংক্রান্ত আকাঙ্ক্ষা: উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত মহিলাদের কর্মজীবন সংক্রান্ত লক্ষ্য থাকার সম্ভাবনা বেশি, যা তাদের কর্মজীবনে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সন্তান জন্মদানে বিলম্ব করতে পারে।
- সামাজিক রীতিনীতি: উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত মহিলারা বিবাহ এবং বিবাহের মধ্যে সন্তান জন্মদানকে মূল্য দেয় এমন সামাজিক রীতিনীতিতে আবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা বেশি।
দারিদ্র্য এবং বিবাহ বহির্ভূত জন্মহার
দারিদ্র্য অন্য আরেকটি প্রধান কারণ যা বিবাহ বহির্ভূত জন্মহারে অবদান রাখে। দারিদ্র্যে বসবাসকারী মহিলারা বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশি কয়েকটি কারণে, যার মধ্যে রয়েছে:
- স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অভাব: দারিদ্র্যে বসবাসকারী মহিলাদের সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা নাও পাওয়া যেতে পারে, যা তাদের অনিচ্ছাকৃত গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করা কঠিন করে তুলতে পারে।
- শিক্ষার অভাব: দারিদ্র্যে বসবাসকারী মহিলাদের মানসম্মত শিক্ষা পাওয়া নাও যেতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং তাদের জন্য একটি পরিবারকে সমর্থন করা আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
- সামাজিক রীতিনীতি: দারিদ্র্যে বসবাসকারী মহিলারা এমন সামাজিক রীতিনীতিতে আবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা বেশি যা বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মদানকে গ্রহণ করে বা এমনকি উৎসাহিত করে।
বিবাহ এবং মাতৃত্ব সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন
শিক্ষা এবং দারিদ্র্য ছাড়াও, বিবাহ এবং মাতৃত্ব সম্পর্কে পরিবর্তনশীল ধারণাও বিবাহ বহির্ভূত জন্মহার বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। অতীতে, বিবাহকে সন্তান জন্মদানের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পূর্বশর্ত হিসাবে দেখা হতো। তবে আজ, আরও বেশি মহিলারা বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মদান বেছে নিচ্ছেন। এটি কিছুটা এর কারণে:
- একক মাতৃত্বের বর্ধিত গ্রহণযোগ্যতা: একক মা’দের আর আগের মতো কলঙ্কিত করা হয় না। বাস্তবে, অনেক একক মা তাদের সন্তানদের জন্য একটি ভালোবাসাময় এবং সহায়ক পরিবেশ সরবরাহ করতে সক্ষম।
- অধিকতর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: মহিলারা এখন আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা তাদের কোন সঙ্গীর উপর নির্ভর না করে তাদের প্রজনন সম্পর্কিত জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেয়।
- লিঙ্গ ভূমিকা পরিবর্তন: লিঙ্গ ভূমিকা আরও নমনীয় হয়ে উঠছে, যা পুরুষদের জন্য সন্তান লালনপালনে জড়িত হওয়াকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলছে, এমনকি যদি তারা তাদের সন্তানের মায়ের সাথে বিবাহিত নাও থাকে।
বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্মদানের প্রভাব
বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্মদানের বৃদ্ধির সমাজের জন্য বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অবিবাহিত মায়েদের জন্ম নেওয়া সন্তানদের দারিদ্র্যে বসবাস করার, কম শিক্ষা অর্জন করার এবং স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি। উপরন্তু, বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্মদান সামাজিক সেবাগুলিকে চাপে ফেলতে পারে এবং সরকারি সহায়তার প্রয়োজন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমস্যা সমাধান
বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্মদানের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে:
- শিক্ষায় বিনিয়োগ: মহিলাদের মানসম্মত শিক্ষার প্রবেশাধিকার প্রদান তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে এবং তাদের প্রজনন সম্পর্কিত জীবন সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।
- দারিদ্র্য হ্রাস: দারিদ্র্য হ্রাস সমস্ত মহিলার জন্য একটি আরও সমান খেলার মাঠ তৈরি করতে এবং বিবাহের বাইরে তাদের সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা কমাতে সাহ