Home জীবনঅপরাধ ও বিচার The First Mass Shooting in the United States: Howard Unruh’s ‘Walk of Death’

The First Mass Shooting in the United States: Howard Unruh’s ‘Walk of Death’

by কিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম গণহত্যা: হাওয়ার্ড অনরাহের “ওয়াক অফ ডেথ”

৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯ সালে, হাওয়ার্ড অনরাহ নিউজার্সির ক্যামডেনে একটি মারাত্মক হামলা শুরু করে, ২০ মিনিটের মধ্যে ১৩ জনকে হত্যা করে এবং আরও তিনজনকে আহত করে। এই ভয়াবহ ঘটনাটি, যা “ওয়াক অফ ডেথ” নামে পরিচিত, আমেরিকার ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করে, কারণ এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম গণহত্যা।

একজন গণহত্যাকারীর প্রোফাইল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন প্রাক্তন সৈনিক অনরাহ, এমন কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করেছিলেন যা সাধারণত গণহত্যাকারীদের মধ্যে দেখা যায়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অনমনীয়, হতাশাকে মেনে নিতে অক্ষম এবং বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি নিয়ে ভুগতেন। এছাড়াও, তিনিrantai delussions এ ভুগতেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, লোকেরা তাকে ধরার জন্য বেরিয়েছে।

গণহত্যাকারীদের মনোবিজ্ঞান

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে গণহত্যাকারীদের প্রায়ই মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস থাকে, বিশেষ করে সিজোফ্রেনিয়া বা paranoia। তারা শৈশবে আঘাত বা নির্যাতনেরও শিকার হতে পারে, যা রাগ এবং ক্ষোভের অনুভূতি তৈরি করতে পারে। অনরাহর ক্ষেত্রে, তার দীর্ঘদিনের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা ছিল, যার মধ্যে রয়েছে তাড়নার ভ্রান্ত ধারণা এবং প্রেতাত্মা দেখা।

গণহত্যায় মানসিক অসুস্থতার ভূমিকা

যদিও মানসিক অসুস্থতা গণহত্যার একমাত্র কারণ নয়, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী কারণ। মারাত্মক মানসিক অসুস্থতার মানুষদের মধ্যে হিংস্রতার চিন্তাভাবনা অনুভব করার এবং সেগুলোর উপর কাজ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ প্রদর্শনকারী ব্যক্তিদের সম্ভাব্য বিপর্যয় রোধ করতে তাদের প্রাথমিক হস্তক্ষেপ এবং চিকিৎসা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সমাজে গণহত্যার প্রভাব

গণহত্যার ঘটনাগুলি যে সম্প্রদায় গুলিতে ঘটে সেগুলিতে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে। এগুলি ব্যাপক ভয়, আঘাত এবং শোক সৃষ্টি করে। গণহত্যার বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা প্রায়ই পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে। “ওয়াক অফ ডেথ” এর ক্ষেত্রে, ক্যামডেন সম্প্রদায়টি গভীরভাবে কেঁপে উঠেছিল এবং অনেক বাসিন্দা এই ঘটনার কারণে আঘাত পেয়েছিল।

হাওয়ার্ড অনরাহর উত্তরাধিকার

অনরাহর “ওয়াক অফ ডেথ” আমেরিকান ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা হিসেবে রয়ে গেছে। এটি অচিকিৎসিত মানসিক অসুস্থতার বিপদ এবং আরও কঠোর গান নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। অনরাহর গল্পটি অসংখ্য বই, প্রবন্ধ এবং তথ্যচিত্রের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাকে অপরাধ বিশ্লেষক এবং মনোবিদরা অধ্যয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন।

গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা

গণহত্যার ঘটনাগুলির জনমত গঠনে গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংবেদনশীল সংবাদ প্রচার গণহত্যাকারীদের মহিমান্বিত করতে পারে এবং অনুকরণকারীদের অনুপ্রাণিত করতে পারে। গণমাধ্যমের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে তারা দায়িত্বশীল এবং সঠিকভাবে গণহত্যার ঘটনাগুলি প্রতিবেদন করে, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য এবং গান নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তথ্যও প্রদান করে।

গণহত্যা রোধ

গণহত্যা রোধ করার জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। গণহত্যার অন্তর্নিহিত কারণগুলি, যেমন মানসিক অসুস্থতা এবং অস্ত্রের সহজলভ্যতা, সেগুলিকে সমাধান করা অপরিহার্য। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক হস্তক্ষেপ এবং চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্তভাবে, কঠোর গান নিয়ন্ত্রণ আইন ব্যক্তিদের অস্ত্র সংগ্রহ করা আরও কঠিন করে গণহত্যার ঘটনা কমানোতে সহায়তা করতে পারে।

উপসংহার

“ওয়াক অফ ডেথ” আমেরিকান ইতিহাসে একটি বিভাজনকারী মুহূর্ত ছিল, যা গণহত্যার একটি দুঃখজনক প্রবণতার সূচনা করেছিল। গণহত্যাকারীদের প্রোফাইল, মানসিক অসুস্থতার ভূমিকা এবং সমাজে এই ঘটনাগুলির প্রভাব বোঝার মাধ্যমে, আমরা ভবিষ্যতের বিপর্যয় রোধের জন্য কাজ করতে পারি।